বাসার ছাদটা ছোট। কিন্তু দেখুন, বৃষ্টিতে ভিজে কি অপরুপ সাজে সেজেছে, করছে আপনার জন্যই অপেক্ষা। খোলা ছাদ যেন আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বাইরে ঝুম বৃষ্টি, পাশের ছাদের কেউ দেখবেনা ত? আরে না- তাকিয়ে দেখুন, ওরা তো নিজেরাই ভিজে একাকার। আপনিও একাকার করে দিন আপনার সারা সকাল, দুপুর, সন্ধ্যে, রাত। এমন অঝোর ধারার বৃষ্টিতে বাংলার দামাল ছেলেদের ফুটবল খেলাটা খুব সাধারণ একটা ব্যপার। বড় কোনো মাঠ পেলে এদেরকে দুর্গম গতিতে ছুটে যেতে দেখা যায়। বৃষ্টিতে ভিজে সব একাকার- জামাকাপড়, ভেজা শরীর, সমস্ত গায়ে কাদামাটি মাখানো থাকে। প্রাণোচ্ছল, প্রাণচঞ্চল, অসীম আনন্দময় সেই ক্ষণ। রাস্তার পাশ দিয়ে কেউ যদি ছাতা মাথায় চলে যান, এদের দেখে সত্যি মনে হবে- নিজেকে একটু সিক্ত করে নিলে, ক্ষতি কি? তবে অ্যালার্জি, মাথাব্যাথার মতো সমস্যা যাদের আছে, তাদের চোখে বর্ষাকাল বা বর্ষাবরণ পুরোটাই ভিন্ন। একদম ঝুম বৃষ্টিতে আড্ডা দেয়ার মজাটাই আলাদা। আড্ডা চলছে, সেই সাথে চা-কফিতে হঠাৎ চুমুক- এ যেন এক অন্যরকম এক স্বাদ সৃষ্টি করে। আর সন্ধ্যার আড্ডায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে, যদি আয়োজন করা যায় ছোট কোনো বারবি-কিউ পার্টি, তাহলে ব্যাপারটা সব বন্ধুদের জন্যই অনেক চমকপ্রদ হয়। এই বৃষ্টিভেজা দিনে কেউ যদি তার মুড বুঝে পছন্দের গান বেছে নেয়, তাহলে কিন্তু বেশ লাগে শুনতে। বৃষ্টিতে রিক্সার হুড খুলে বসে, রোম্যান্টিক কোনো গান গাইতে গাইতে চলে যাওয়া যায়- যতদূর চোখ যায়। বৃষ্টিভেজা সবুজ গাছপালা যেন আরো টেনে নিয়ে যেতে থাকে, প্রকৃতির অনেক কাছে। টঙ দোকানের ভেজা বেঞ্চিতে বসে চা খাওয়া, কারো হাত ধরে কিছুটা সময় গল্প করা- গভীর আবেগের সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে ছাতা হাতে হালকা বৃষ্টিতে ভিজে প্রিয় কারো পাশে হেঁটে চলা, সেই সাথে নতুন কিছু অনুভূতির জন্ম দেয়া। সবকিছু মিলে বাদল দিন যেন সবার মনেই ছোট-বড় বেহিসেবি অনুভূতির জন্ম দেয়। তাই সবাই যেন একসঙ্গে মেতে উঠি এই অনুভূতির খেলায়।
আর কখনও তোমাকে বিরক্ত করবো না। আর কখনও ফোন পাবে না আমার। আর কখনও বলব না, তোমাকে খুব মিস করছি। আর কখনও তোমার চোখে তাকিয়ে বলব না, কি জাদু করেছো। আর কখনও তুমি কাদলে চোখের জল মুছ...
Comments
Post a Comment